শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কেজি স্কুল গুলোতে তাপদহ উপেক্ষা করে চলছে পাঠদান! এর দায় কার, ওরা কি শিশু না? প্রচন্ড তাপদহের কারনে সরকারের নির্দেশনায় মোতাবেক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রাথমিক স্কুল, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন। সে মোতাবেক আগামি ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কেজি স্কুল সমুহ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রচন্ড তাপদহের মধ্যেও প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রেখেছেন কর্তপক্ষ। এনিয়ে নানা মহলে চলছে জল্পনা কল্পনা। সচেতন মহলের দাবি প্রাথমিক স্কুল, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের চেয়ে কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরা বয়সে ছোট এবং কমলমতি। তাপদহে তাদের বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ সেইসব শিশুদের কেজি স্কুল খোলা রাখা হয়েছে। এর দায় কে নিবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি পৌরসভা ও ১৫ টি ইউনিয়নে ১১৭টি কেজি স্কুল রয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ জন। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোলামেলা অবকাঠামো এবং গাছপালা নেই।
পৌরসভার অভিভাবক মোঃ জুয়েল রানার ভাষ্য, তার শিশু কন্যা পৌরসভার একটি কেজি স্কুলের শিশু শ্রেনির শিক্ষার্থী। গত রোববার সকালে তার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। বাবা তার মেয়ে বললেন সরকার তো স্কুল বন্ধ দিয়েছে, মেয়ে বললেন তার স্কুল বন্ধ দেয়নি। ওই অভিভাবকের দাবি কেজি স্কুল সমুহ কোন অধিদপ্তর পরিচালানা করেন। যদি তাদের কোন দপ্তর না থাকে তাহলে কি কেজি স্কুল সমুহ মনগড়া চলছে। এনিয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।